Saturday, November 16, 2024

আল-আসমাউল হুসনার মাধ্যমে আল্লাহর গায়েবী মদদ হাছিল করুন : আল্লাহর বিশেষ ৪৬ টি নাম

আল-আসমাউল হুসনা হচ্ছে আল্লাহ তা’আলার ঐ সকল পবিত্র নামসমূহ, যে নাম সমূহের উছিলায় আল্লাহ তা’আলা বান্দার দো’আ কবুল ফরমান। এই সকল নামসমূহ আল্লাহ তা’আলার বিভিন্ন গুণাবলি গুলোকে প্রকাশিত এবং প্রতিফলিত করে। এই নামসমূহের যিকির দ্বারা একজন ব্যক্তির আধ্যাত্নিক এবং পার্থিব উভয় জীবনে বিবিধ উপকার বয়ে নিয়ে আসে। আপনাদের খেদমতে আসমাউল হুসনার এমন ৪৬ টি নাম উপস্থাপন করছি যা বান্দার দো’আ কবুলের জন্য অত্যান্ত কার্যকর।

আসমাউল হুসনার ৪৬ টি নামঃ

ইয়া হান্নান ইয়া মান্নান

এই নাম দু’টি আল্লাহর রহমত এবং উদারতার ইঙ্গিত দেয়। এই নামদ্বয়ের নিয়মিত যিকির দ্বারা আল্লাহর অশেষ রহমত হাছিল হয়। 

ইয়া বাদিউস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ব

এই নামটি আল্লাহর সৃজনশীল শক্তি, ক্ষমতা এবং কুদরতকে প্রকাশ করে। এই নামের নিয়মিত যিকির দ্বারা বান্দার মধ্যে সৃজনশীলতার শক্তি বৃদ্ধি পায়। 

ইয়া জাল-জালালী ওয়াল ইকরম

এই নামটি আল্লাহর মহিমা এবং উদারতার প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করে। এই নামের যিকির দ্বারা বান্দা মর্যাদা এবং সম্মান লাভ করে। সমাজের মধ্যে প্রসিদ্ধি লাভ করে।

ইয়া খায়রুল ওয়ারিসিন

এই নামটি আল্লাহর উত্তরাধিকারের বৈশিষ্ট্যকে প্রতিফলিত করে। এই নামের যিকির দ্বারা আল্লহ তা’আলার প্রাপ্ত নিয়ামত, টাকা-পয়সা, সহায়-সম্পত্তিকে সবকিছুকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।

ইয়া আরহাম আর-রহিমিন

এই নামটি আল্লাহর অসীম দয়া ও রহমত কে বোঝায়। এই নামের অজিফায় আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পাওয়া যায়।

ইয়া সামিউদ-দু’আ

আল্লাহ সব কিছুই প্রত্যক্ষভাবেই শুনতে পান, এই নামটি আল্লাহর সেই গুণকেই প্রতিফলিত করে। এই নামের প্রত্যহ যিকিরের মাধ্যমে দু’আ কবুল হয়।

ইয়া আল্লাহ ইয়া আল্লাহ

এটা আল্লাহর সবচেয়ে বড় এবং মহত্ত্বপূর্ণ নাম। এই নামের উসিলায় সমস্ত দু’আ কবুল হয়।

ইয়া আলিমু ইয়া হাকিম

এই নামদ্বয় মহার আল্লাহ তা’আলার জ্ঞান ও প্রজ্ঞার গুণাবলিকে উপস্থাপন করে। এগুলো নিয়মিত অজিফা করলে বান্দার জ্ঞান ও প্রজ্ঞা বৃদ্ধি পায়।

ইয়া মালিকুল মুলক

এই নামটি আল্লাহর সার্বভৌমত্বরে বিশেষ গুণকে প্রতিফলিত করে। এটির অজিফা করার দ্বারা জাগতিক এবং আধ্যাত্মিক উভয় জাহানে আধিপত্য বিস্তার হতে থাকে।

ইয়া রহমান ইয়া রহিম

এই নামগুলো আল্লাহর অসীম করুণার পরিচয় দেয়। এগুলো পাঠ করলে আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পাওয়া যায়। বাদশাহী হাসিল হয়।

ইয়া গণি ইয়া মুগণী

এই নামযুগল আল্লাহর অসীম সম্পদশালীতার গুণকে প্রতিফলিত করে। এগুলো পাঠ করলে ধন-সম্পদ ও রিযিকে বে-শুমার বরকত হয়। বান্দা ধনী হয়ে যায়।

দু’আ এ আসমাউল হুসনা

اللهم اني اسألكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنتَ
يا حنَّانُ يَا مَنَّانُ يَا بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالإِكْرَامِ
يَا خَيْرَ الْوَارِثِينَ يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ يَا سَمِيعَ الدُّعَاءِ يَا اللهُ
يا الله يا الله يا عَلِيمُ يَا سَمِيعُ يَا عَلِيمُ يَا حَلِيمُ يَا مَالِكُ الْمُلْكِ
يا مَلِكُ يَا سَلَامُ يَا حَقُّ يَا قَدِيمُ يَا قَائِمُ يَا غَنِيُّ يَا مُحِيطُ
يَا حَكِيمُ يَا عَلِيُّ يَا قَاهِرُ يَا رَحْمنُ يَا رَحِيمُ يَا سَرِيعُ يَا كَرِيمُ
يَا مَخْفِيُّ يَا مَعْطِيُ يَا مَانِعُ يَا مِحْنُ يَا مُقْسِطُ يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ
يَا أَحَدُ يَا صَمَدُ يَا رَبِّ يَا رَتِ يَا رَبِّ يَا وَهَّابُ يَا غَفَّارُ
يا قَرِيبُ يَا لَا إِلَهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
أَنتَ حَسْبِي وَنِعْمَ الْوَكِيلُ وَأَسْمَاءُ اللَّهِ تَعَالَى أَلَا أَعْظَمُ
الَّذِي إِذَا سُئِلَ بِهِ أَعْطَى وَإِذَا دُعِيَ بِهِ أَجَابَ اللَّهُمَّ إِنِّي
أَسْأَلُكَ بِأَنِّي أَشْهَدُ إِنَّكَ أَنتَ اللهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنتَ الْأَحَدُ
الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُؤًا أَحَدُ

এই   দু’আর উপকারিতা 

এই ৪৬টি আল আসমা উল হুসনা। আল্লাহর সুন্দর ও পবিত্র নাম। এগুলো নিয়মিত পড়া একজন ব্যক্তিকে আল্লাহ তা’আলা রহমত ও বরকত আতা ফরমান। এই নামগুলো দোয়া কবুলের চাবিকাঠি এবং এগুলোর তেলাওয়াত প্রত্যেকের জন্য অপরিসীম উপকার নিয়ে আসে।